হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড নিয়ে আছে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন । এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে জিজ্ঞাসা থাকে সে গুলো হচ্ছে ,
১) হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড শরিরের কোথায় পাওয়া যায় ?
২) ত্বকের জন্য হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড কিভাবে ব্যবহার করা যায় ?
৩) হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড কিভাবে ত্বকের তারুন্য ধরে রাখে ? আজকের ব্লগে আমরা এই প্রশ্ন গুলো সমাধানে সহজ ভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করবো।
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড শরিরের কোথায় পাওয়া যায় ?
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড হল আর্টিকুলার কার্টিলেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেখানে এটি প্রতিটি কোষের (কন্ড্রোসাইট ) চারপাশে আবরণ হিসাবে উপস্থিত থাকে। এছাড়া এটি অতি জরুরি একটি উপাদান যা ত্বকের টিস্যুগুলোকে মেরামতে ব্যবহৃত হয়। এটি আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং টিস্যুগুলিকে লব্রিুব্রিকেটেড রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । শরিরে যেমন হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড থাকে তেমনি প্রায় প্রতিদিনই এটি কমতে থাকে । বিশেষ করে রোদে পোড়ার ক্ষেত্রে যেমন শরির UVB এর সংস্পর্শে এলে এপিডার্মিসের্মিসের কোষ গুলো একদিকে যেমন হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড তৈরি বন্ধ করে দেয় তেমনি অন্যদিকে হ্রাস পেতে থাকে । গড় 70 কে জি (150 পাউন্ড) ব্যক্তির শরীরে মোটামটিু ভাবে 15 গ্রাম হায়ালরুানন থাকে , যার এক তৃতীয়াংশ প্রতিদিন হ্রাস পায়। এছড়া বয়স বদ্ধিৃদ্ধির সাথে সাথে হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড শরিরে হ্রাস পেতে থাকে ।
ত্বকের জন্য হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড কিভাবে ব্যবহার করা যায় ?
বর্তমানে হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড বহুল ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কসমেটিকস আইটেমে বিশেষত ত্বককে হাইড্রেট রাখতে , ত্বকের বলিরেখা কমাতে , ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ভেতর থেকে মেরামত করতে হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে । এছড়াও অস্টিওআর্থারাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যথা উপশম করতে এবং শুষ্কচোখের চিকিত্সার জন্য চোখের ড্রপগুলিতেও এর বহুল ব্যবহার রয়েছে । তেমন কোন ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকার কারনে ত্বকের সমস্যা্র সমাধানে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
সিরাম, ক্রিম, ময়শ্চারাইজার এবং লোশন এমনকি শীট মাস্ক আকারে হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করা যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত মশ্চারাইজার ক্রিম এবং সিরামে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহারের নিয়মঃ
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে এটা মনে রাখতে হবে যেন কখনোই যেন সানসক্রিম এবং মেকাপের পরে ব্যবহার না করা হয়। যেহেতু এটি নিরাপদ এবং যেকোন ত্বকে ব্যবহার করা যায় তাই স্কিনকের ক্ষেত্রে পরিষ্কার মুখে সিরাম অথবা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে ।
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত সিরাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিরাম আলতোভাবে মুখে দিতে হবে এবং অবশ্যই পরিষ্কার মুখে । সিরামের ক্ষেত্রে সিরাম লাগানোর ৩০ মিনিটের আগে রোদে অথবা রান্না ঘরে না যাওয়াই ভালো । এর ফলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত মশ্চারাইজার ক্রিম, ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিষ্কার মুখে ক্রিম লাগানোর পর বাইরে বের হবেন। এছড়া নাইট ক্রিম যদি হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত হয় তবে রাতে ঘুমানোর পুর্বে পরিষ্কার মুখে ব্যবাহার করবেন।
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্পেনিশ পন্য গুলো তুলনামলুক ভাবে অন্যান্য দের মধ্যে এগিয়ে আছে । এর অন্যতম কারন হচ্ছে পুরো বিশ্বে যত কসমেটিকস এর র উপাদান নিয়ে কাজ করা হয় তার বেশিরভাগই স্পেন থেকে আমদানি করা হয় । সরাসরি স্পেন থেকে হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত কসমেটিক উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জসেুসেরা ইয়ুথ রিনিউয়াল সিরাম যা ত্বকের ভেতরের লেয়ারে প্রবেশ করে ত্বকের বলিরেখা কমায় , ত্বকের কোলাজেন এর পরিমান বাড়ায় এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে । চোখের নিচে বলিরেখার ক্ষেত্রে জসেুসেরা রেটিনল আই সিরাম যা চোখের নিচে ফোলা ভাব , কালো দাগ দরূ করে চোখ রাখে সুন্দর।
হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড কিভাবে ত্বকের তারুন্য ধরে রাখে ?
তারুন্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হচ্ছে ত্বকের বলিরেখা, ত্বক কুচকে যাওয়া এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। দেখা যায় ত্বকের ভেতরে পানি কমে গেলে , ত্বকের বয়স বাড়তে শুরু করলে কোলাজেন কমা শুরু হয় । হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং তারুন্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ।
মানবদেহে যতটা হায়লোরনিক অ্যাসিড থাকে , তার অর্ধেকই থাকে মুখের মধ্যে । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অ্যাডিসের পরিমাণ কমতে থাকলে তার ছাপ সবচেয়ে আগে মুখে এসে পড়ে । খুব বেশি সময় রোদে থাকলে ও মুখে প্রাকৃতিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যেতে পারে । ফলে মুখে বলিরেখা, দাগ, ছোপ, ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। হায়ালরুনিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ব্যবহার করলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হায়ালরুনিক অ্যাসিড ত্বকের পানিকে আবদ্ধ করে , এবং একটি জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে , যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে । হায়ালরুরোনিক অ্যাসিড ইলাস্টিন এবং কোলাজেন ফাইবারের মধ্যে দরূত্ব কমিয়ে ত্বকের ফাইনলাইনস এবং রিঙ্কেলস কমিয়ে আনে । এটি ত্বকের তারুণ্য ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে ,ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে চোখের নিচের কালোদাগ দরূ করে ।
তবে যেকোন পন্য কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে , হুট করেই ফর্সা হয়ে যাওয়া আর ত্বককে ভেতর থেকে রিপেয়ার করা এক না। স্বাস্থ্যজ্বল ত্বক আপনাকে দেয় তারুন্য ধরে রাখার প্রতি শ্রুতি । সুস্থ–সুন্দর তারুন্যের প্রতি স্প্যানিশ পন্য জসেুসেরাও প্রতি শ্রুতিবদ্ধ ,যেন কোন প্রকার স্কিনের ক্ষতি ছাড়াই আপনার ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ভেতর থেকে মেরামত করে আপনাকে দেয় তারুণ্যদীপ্ত ত্বক।
ধন্যবাদ।
Introducing Yusera, a distinguished brand at the forefront of the beauty cosmetics industry, specializing in skincare solutions. Our brand is synonymous with excellence, fusing Spanish innovation with a commitment to crafting products that elevate your skincare routine to an art form.
Origin and Expertise:
Rooted in Spain, a hub of beauty and cosmetic innovation, Yusera draws inspiration from the country's rich heritage and cutting-edge technological advancements. Our commitment to excellence is reflected in every product, each meticulously formulated to bring out the best in your skin.